ইমাম (Imam)
"ইমাম" লিখেছেন লতিফুল ইসলাম শিবলী, যিনি ছিলেন তাঁর সময়ের ফ্যাশন আইকন। তবে এবার তিনি তাঁর অনন্য রচনাশৈলী দিয়ে একটি উপন্যাসের মাধ্যমে ভ্রমণের চমৎকার দিক এবং ইমান রক্ষার বিশেষ উপায় তুলে ধরেছেন।
গভীর অন্ধকার রাতে সাগরতীরে হাঁটার সময়, তুমুল জনপ্রিয় রকস্টার রুমি পানির জোয়ারে মৃত্যুর সম্মুখীন হন। মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেতে তিনি একটি প্রমিজ করেন, যা তাঁর জীবনকে সম্পূর্ণ বদলে দেয়। সেই প্রমিজ রক্ষা করার উপায় খুঁজতে রুমি জীবনের পথে বেরিয়ে পড়ে এবং শুরু করে এক গভীর ভ্রমণ।
ভ্রমণের মধ্য দিয়ে রুমি উপলব্ধি করে, ভ্রমণই মানবজাতির শ্রেষ্ঠ পাঠশালা। যারা নিজের পথে চলতে শিখে, তারাই নতুন পথ তৈরি করে, আর অন্যরা সেই পথ অনুসরণ করে। এই যাত্রায় রুমি একজন ইমামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ইমাম তাঁকে প্রমিজ রক্ষার সঠিক পথ দেখান এবং জীবনের প্রকৃত সত্যের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। ইমামের কাছ থেকে রুমি জানতে পারে, এই পৃথিবীর সবকিছুই ক্ষণস্থায়ী। আমাদের জীবনে যা কিছুই হোক না কেন, একদিন সবাইকে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করে আল্লাহর কাছে ফিরে যেতে হবে।
রুমি তাঁর প্রমিজ রক্ষার জন্য দেশে ফিরে আসে। এই ভ্রমণ শুধু তাঁর জীবনের অর্থকেই বদলে দেয়নি, বরং তাঁকে জীবনের গভীরতর উপলব্ধি এবং ইমানের পথে চলতে উদ্বুদ্ধ করেছে।
লতিফুল ইসলাম শিবলীর লেখায় বাস্তবতা এবং আধ্যাত্মিকতার মধ্যকার যোগসূত্র অত্যন্ত সংবেদনশীলভাবে তুলে ধরেছেন। ভ্রমণের বর্ণনা এবং রুমির আত্ম-উপলব্ধির যাত্রা পাঠকদের মুগ্ধ করে। লেখকের সহজ ও প্রাঞ্জল ভাষা, চরিত্রের গভীরতা, এবং কাহিনির চমৎকার বিন্যাস পাঠকের মনে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলে।
"ইমাম" আত্ম-অনুসন্ধান, আত্ম-উপলব্ধি এবং জীবনের গভীর সত্য উপলব্ধির এক অসাধারণ কাহিনি। রুমির চরিত্র এবং তাঁর ভ্রমণ আমাকে ভীষণভাবে নাড়া দিয়েছে। লেখকের বর্ণনা এতটাই জীবন্ত যে এটি পাঠককে পুরোপুরি মুগ্ধ করতে সক্ষম।
"ইমাম" একটি অনন্য উপন্যাস, যা ভ্রমণ, ইমান এবং জীবনের গভীর দিকগুলো নিয়ে ভাবতে বাধ্য করে। যারা আত্ম-উপলব্ধির কাহিনি এবং আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকে জীবন দেখতে পছন্দ করেন, তাঁদের জন্য এই বইটি অবশ্যই পড়ার মতো।
Comments
Post a Comment